ছোট থাকতে ভারতীয় একটা এ্যাড দেখেছিলাম। তখন আমার বয়স সম্ভবত ১২। কিন্তু মনে অনেক আঘাত পেয়েছিল। আপনাদের জন্য এ্যাডটি এখানে দিয়ে রাখলাম -
মনে তখন থেকেই ইচ্ছা ছিল যে রক্ত দান করবো। ২০১২ সালে শুরু করেছি এবং তারপর থেকে প্রায় প্রতি বছরই ৩ বার করে রক্ত দিয়ে এসেছি। অন্যদের দিতেও সাহায্য করেছি। এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ বারের মত হয়তো রক্ত দেওয়া হয়েছে আমার। কিন্তু আমি একা বাংলাদেশের সব রক্তের চাহিদা পূরন করতে পারবো না। ভার্সিটি থেকে বের হওয়ার পর রক্তদানের বিষয়টা বেশ কঠিন হয়ে পরেছে।
চাকুরী জীবনের সুবাদে অনেক কানেকশন তৈরী হয়েছে। অনেকের কাছ থেকে সাহায্যও পাচ্ছি। এখন সময় এসেছে কিছু করার।
চাকুরী জীবনের সুবাদে অনেক কানেকশন তৈরী হয়েছে। অনেকের কাছ থেকে সাহায্যও পাচ্ছি। এখন সময় এসেছে কিছু করার।
পর্যবেক্ষন
বিগত প্রায় এক যুগ ধরে রক্তদাতা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে, ব্লাডব্যাংকের সাথে ও শত শত রক্ত গ্রহীতার সাথে কথা বলে আমি যা উপলব্ধি করতে পেরেছি -
১. বাংলাদেশের নাম জানা বেশ কিছু রক্তদাতা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা স্বেচ্ছাসেবীদের দ্বারা পরিচালিত।
২. কোন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানই তাদের কার্যক্রম পুর্নাঙ্গভাবে করতে পারে না অর্থের অভাবে।
৩. বাংলাদেশের রক্তদাতাদের মাঝে পর্যাপ্ত মার্কেটিং এর অভাবে তারা সঠিক ভাবে রক্ত দিতে পারেন না।
৪. রক্তগ্রহীতা ও দাতার মাঝে যোগাযোগের ব্যবস্থা খুব খারাপ।
৫. দেশের ব্যপক রক্তদাতার কোন সেন্ট্রাল ডাটাবেজ নেই।
৬. সামান্য কিছু প্রতিষ্ঠান কিছু সংখ্যক রক্তদাতার একটা ডাটাবেজ রাখেন কিন্তু সঠিক ভাবে তথ্য আপডেট করা হয় না।
৬. সামান্য কিছু প্রতিষ্ঠান কিছু সংখ্যক রক্তদাতার একটা ডাটাবেজ রাখেন কিন্তু সঠিক ভাবে তথ্য আপডেট করা হয় না।
এগুলো উপলব্ধি করে আমি ব্যক্তিগতভাবে একটা পরিকল্পনা করেছি।
পরিকল্পনা
আমি পরিকল্পনা করেছি কিছু বিষয় বিবেচনা করে।
বিবেচনার বিষয়গুলো হল -
১. বর্তমানে আমরা একটা ডিজিটাল যুগে পা রেখেছি। এখানে তথ্য এক জায়গায় উন্মুক্তভাবে পেলে আমাদের সুবিধা হয়।
২. আমরা কম সময়ে আমাদের উপযুক্ত তথ্য পেলে আমরা সেদিকে যেতে পছন্দ করি।
৩. বিপদের সময় নিজেকে অন্যের উপরে নির্ভরশীল না করে আত্মনির্ভরশীল করতে পারলে আমাদের বেশী উপকার হয়।
৪. তথ্যের সীমাবধ্যতা থেকে আমরা সবাই মুক্তি চাই।
৪. তথ্যের সীমাবধ্যতা থেকে আমরা সবাই মুক্তি চাই।
এই কারনে আমাদের পরিকল্পনা হল -
আমরা একটা Database website বানাবো যেখানে রক্তদাতারা স্বেচ্ছায় তাদের তথ্য দিবেন এবং আমরা একটা জাতীয় Database তৈরী করবো। সেখানে জেলা, থানা ও রক্তের গ্রুপ ভিত্তিক রক্তদাতাদের গ্রুপে বিভক্ত করা হবে যেন যে কেউ চাইলে সে হিসেবে ফিল্টার করে সকল রক্তদাতাদের তথ্য পেয়ে যাবে। এতে যেটা হবে যে প্রত্যেকে শুধু নিজেদের পরিবার ও বন্ধু মহলের মাঝে রক্ত খুজে নিরুপায় হয়ে বসে থাকবে না।
আমরা একটা Database website বানাবো যেখানে রক্তদাতারা স্বেচ্ছায় তাদের তথ্য দিবেন এবং আমরা একটা জাতীয় Database তৈরী করবো। সেখানে জেলা, থানা ও রক্তের গ্রুপ ভিত্তিক রক্তদাতাদের গ্রুপে বিভক্ত করা হবে যেন যে কেউ চাইলে সে হিসেবে ফিল্টার করে সকল রক্তদাতাদের তথ্য পেয়ে যাবে। এতে যেটা হবে যে প্রত্যেকে শুধু নিজেদের পরিবার ও বন্ধু মহলের মাঝে রক্ত খুজে নিরুপায় হয়ে বসে থাকবে না।
তারা Website এ আসবে, স্থান ও রক্তের গ্রুপ দিয়ে Search করবে, List পেয়ে যাবে এবং বসে বসে Call দিবে। আমাদের প্রবাবিলিটির হিসেব অনুযায়ী অন্তত ১০ জনকে ফোন দিলে ১ জন রক্ত দিতে রাজী হবেন।
প্রশ্নঃ সারা দেশের রক্তদাতাদের কাছে আপনার Website কিভাবে পৌছাবেন?
আমরা ৫ ধাপে এটি সম্পাদন করবো।
১. যেহেতু আমাদের দেশের ১৮-২৬ বছর বয়েসী শিক্ষার্থীরা রক্তদানের সাথে সম্পৃক্ত বেশী তাই আমরা প্রথমে দেশের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিকে টারগেট করবো। বিভিন্ন যোগাযোগের মাধ্যমে আমরা দেশের সকল ভার্সিটিতে আমাদের প্রতিনিধি গড়ে তুলবো। তারা আমাদের হয়ে রক্তদাতাদের রেজিস্ট্রেশান করাবেন।
২. আমাদের একটি কমিউনিটি তৈরী করবো যার মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। পারলে আমরা অনলাইন সেমিনার করবো।
৩. Digital Marketing এবং Social Media Marketing এর মাধ্যমে আমরা সাময়িক প্রচারনা চালিয়ে যেতে পারি।
৪. ভিজিটিং কার্ড বিতরনের মাধ্যমে আমরা প্রচারনা চালাবো।
৫. Affiliate Marketing এর মাধ্যমে আমরা প্রচারনা চালাবো।
৫. Affiliate Marketing এর মাধ্যমে আমরা প্রচারনা চালাবো।
প্রশ্নঃ রক্তদাতারা কে কখন রক্তদানের জন্য যোগ্য, এটা নিরধারন করবেন কিভাবে?
যতদিন না আমরা একটা Cross-Platform Mobile app প্রস্তুত করতে পারছি, ততদিন আমাদের এটা নিয়ে করার কিছু নাই। এর জন্য আমাদের অনেক Donation প্রয়োজন হবে। আমরা আপাতত শুধু একটা সাধারন ডাটাবেজ সাইট তৈরী করে তাতে ডোনারদের সংযুক্ত করতে পারি। যেখান থেকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করতে হবে যে তারা রক্ত দিতে পারবেন কি পারবেন না। পুরোটাই সম্ভাবনার খেলা।
পরবর্তীতে আমরা একটা App বানালে সেখানে Donor দের ইনপুট নিতে পারবো। তাহলে কেউ যদি রক্ত দেয় - App এর মাধ্যমে তৎক্ষণাৎ আপডেট দিয়ে দিতে পারবে যে সে কবে ও কোথায় কতটুকু রক্ত দিয়েছে। আমাদের Website এ তাহলে আমরা তাকে ১১০ দিনের জন্য "Unavailable" করে দিতে পারবো। পুরো কাজটা এ্যাল্গরিদমের মাধ্যমে করা সম্ভব। এটা হলে, রক্তগ্রহীতারা শুধুমাত্র যারা "Available" তাদেরকেই খুজে পাবেন।
পরবর্তীতে আমরা একটা App বানালে সেখানে Donor দের ইনপুট নিতে পারবো। তাহলে কেউ যদি রক্ত দেয় - App এর মাধ্যমে তৎক্ষণাৎ আপডেট দিয়ে দিতে পারবে যে সে কবে ও কোথায় কতটুকু রক্ত দিয়েছে। আমাদের Website এ তাহলে আমরা তাকে ১১০ দিনের জন্য "Unavailable" করে দিতে পারবো। পুরো কাজটা এ্যাল্গরিদমের মাধ্যমে করা সম্ভব। এটা হলে, রক্তগ্রহীতারা শুধুমাত্র যারা "Available" তাদেরকেই খুজে পাবেন।
প্রোজেক্টের প্রগতী
একজন ক্ষুদ্র Programmer হিসেবে আপাতত আমার website বানানোর কাজ ৩০% সম্পূর্ন হয়েছে। তবে আশা করছি ২০২৫ এ আমরা website launch করে ফেলবো।
0 Comments